বুধবার, ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বিকাল ৩:৫১

মার্কিন বিমান বাহিনী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অংশ নিতে আগ্রহী।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : দু’দেশের বিমানবাহিনীর মধ্যকার এক ভার্চুয়াল কনফারেন্সে ৫০ তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সম্ভাবনার আভাস মিলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী আগামী বছর অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ৫০ তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করল।
আমরা আগামী বছর এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীর দিকে তাকিয়ে আছি। এই মন্তব্য করেছেন মার্কিন বিমান বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মার্ক কসবি। দু দেশের বিমান বাহিনী ওই ভার্চুয়াল সম্মেলনে বাংলাদেশ–মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের এবং দ্বিপক্ষীয় সামর্থ্য বৃদ্ধিকে গভীরতর করার লক্ষ্যে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যৌথভাবে চতুর্থ বার্ষিক এয়ারম্যান টু এয়ারম্যান ভার্চুয়াল সম্মেলন গত ২৪ থেকে ২৬ আগস্ট সম্পন্ন করে।
ইউএস ইন্দো–প্যাসিফিক কমান্ডের ওয়েবসাইটে গত ২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন ক্যাপ্টেন ক্রিস্টেন অর্নেলা । হাওয়াই ভিত্তিক জয়েন্ট বেইজ পার্ল হারবার থেকে ক্যাপ্টেন ক্রিষ্টেন লিখেছেন, এই ফোরামটি হলো দু’দেশের মিলিটারি টু মিলিটারি সম্পর্ক জোরদার করার একটি ফোরাম । এর মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গভীরতর করাই লক্ষ্য । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র রাষ্ট্রগুলোর বিমানবাহিনী সামনের দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় কার্যক্রম এবং অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করবে, তা এই ভার্চুয়াল সম্মেলনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়। মার্কিন এয়ারফোর্সের মেজর জেনারেল টেলার ওটেন বলেন, আমাদের উভয় দেশ এবং অবশ্যই উভয় দেশের বিমান বাহিনী একটি অভিন্ন অভিপ্রায় ব্যক্ত করে। আর সেই অভিপ্রায় হল, ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে একটি মুক্ত, স্থিতিশীল এবং নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। উল্লখ্য, মেজর জেনারেল টেলার ওটেন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের কমান্ডারের মোবিলাইজেশন সহকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জেনারেল ওটেনের ভাষায়, আমরা আমাদের অংশীদারিত্বের লক্ষসমূহের মধ্যে উল্লিখিত উদ্দেশ্যাবলীকে প্রকৃত ভিত্তি হিসেবে মনে করি। আমরা আমাদের অংশীদারিত্বকে গভীর এবং শক্তিশালী করে চলছি, যার মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। ইউএস ইন্দো–প্যাসিফিক কমান্ডের এই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে, চলতি বছরে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনার মধ্যে রয়েছে সি–১৩০জে ইন্টারঅপেরাবিলিটি , সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সফর বিনিময় কর্মসূচি, এয়ারক্রাফট ট্রেনিং, ব্যান্ড এনগেজমেন্ট এবং মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবেলা। ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে, দুই দেশের বিমান বাহিনী ওই ভার্চুয়াল কনফারেন্সে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করার আগে ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলের ভবিষ্যৎ থিয়েটার কেমন হতে পারে এবং দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কি করে তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, সেসব বিষয় আলোচিত হয়েছে। দুদিনের এই অনলাইন কনফারেন্সে ৫ বছর মেয়াদী মহড়া কর্মসূচির রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কোপ সাউথ, প্যাসিফিক এয়ারলিফট রেলি, প্যাসিফিক এঞ্জেল এবং রেড ফ্ল্যাগ আলাস্কা।
উল্লেখ্য যে দুদেশের সামরিক বাহিনীর যৌথ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল কোপ সাউথ কর্মসূচি। ইউএস এয়ারফোর্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মার্ক ক্রসবি মন্তব্য করেছেন যে, আমি দুইদেশের বিরাজমান সম্পর্কের অব্যাহত অগ্রগতি দেখতে আগ্রহী এবং দীর্ঘমেয়াদে আমাদের অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়ন এবং তা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা সচেষ্ট থাকব । আমরা ওরিগাঁও ন্যাশনাল গার্ড এবং প্যাসিফিক এয়ারফোর্স বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আমরা অবশ্যই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাব।