মঙ্গলবার, ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রাত ১১:১৫

আজ থেকে শুরু একাদশে ভর্তি কার্যক্রম।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : করোনার কারণে দীর্ঘদিন পিছিয়ে যাওয়া ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তির জন্য প্রথম পর্যায়ের আবেদন শুরু হচ্ছে আজ রোববার সকাল সাতটা থেকে। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত। এবার কেবল অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেয়া হবে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু.জিয়াউল হক এই তথ্য জানান।
প্রথম পর্যায়ের পর আরও দুই দফায় আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। অবশ্য তখন আবেদন খুবই কম থাকে। এবারও ঢাকা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় এই ভর্তির কাজটি হচ্ছে। (www.xiclassadmission.gov.bd) ওয়েবসাইট গিয়ে আবেদন করা যাবে। কোন কলেজে কত আসন এবং আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা কী— তাও জানা যাবে এই ঠিকানায়। সব প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী ১৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি আগেই জানিয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ঢাকা বোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।
এবার ৭ হাজার ৪৭৪টি সরকারি-বেসরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ২৫ লাখ আসন রয়েছে। আর মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী। তারাই এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন করবেন। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হলেও আট লাখ আসন ফাঁকা থাকবে।
গত মে মাসের শুরুর দিকে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করে ১০ মে থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেই অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরুর কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পুরো শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। এবার একজন শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে পাঁচটি কলেজ পছন্দক্রম অনুসারে আবেদন করতে হবে। সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে। শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রম অনুসারে তাকে নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হবে। নগদ, সোনালী ব্যাংক, টেলিটক, বিকাশ, শিউর ক্যাশ ও রকেট’র মাধ্যমে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। একাদশে ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবেন। আর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স হবে ২২ বছর। এবার ৯৫ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। মেধার ভর্তির পর পাঁচ শতাংশ আসন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা কার্যকর থাকবে না।
মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে যেন সমস্যা না হয় সেদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই হয়ত ভর্তির ফি একসাথে দিতে পারবে না। সেক্ষেত্রে তারা যেন কিস্তিতে ভর্তি ফি দিতে পারে সে ব্যাবস্থা রাখতে হবে।